ডেস্ক নিউজ : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরের বাড়ি সাতক্ষীরায়। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। টিউশনি করে নিজের খরচ চালানো জাহাঙ্গীরকে এই সময়টা অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যেই কাটাতে হয়েছে। তবে কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে পড়ানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। টিউশনি চলে যাওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস খোলার আগেই খুলনায় চলে এসেছেন জাহাঙ্গীর। তাঁর মতো অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে খুলনায় চলে এসেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশনি বা পার্ট টাইম চাকরি করে নিজের খরচ চালান। অনেকে আবার পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। ফলে এই করোনাকালে তাঁরা বিপদে পড়েছেন।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, টিউশনির টাকা ছাড়া অনলাইন ক্লাসের জন্য ইন্টারনেট কেনার সামর্থ্যও তাঁদের নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনার কারণে আমার সব টিউশনি চলে গেছে। নতুন টিউশনির খোঁজে এবং বন্ধুদের ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে অনলাইন ক্লাস করার জন্য খুলনায় এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো আশা খুঁজে না পেয়ে আপাতত রংমিস্ত্রির কাজ করছি।’
আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অথচ অনলাইনে প্রায় প্রতিদিনই ক্লাস হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য খুলনায় ফিরে এসেছেন।
পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, ‘প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে হয়। এই অবস্থায় দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ এ ছাড়া লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে খুলনায় ফিরে এসেছেন।